স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। তারা বলেছেন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অধিক চর্বি ও কোলেস্টরেলযুক্ত খাবার খেলেই মূলত এর ঝুঁকি বাড়ে। সুতরাং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা ছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচা অসম্ভব।
বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ২০১৭ উপলক্ষে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ‘স্ট্রোক প্রতিরোধে আপনার কারণগুলো কি?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় উপস্থিত পুষ্টিবিদগণ এ কথা বলেন।আলোচনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিএসএর ট্রাস্টি ডা. জাকারিয়া ফারুক।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বনামধন্য নিউরোলজিস্ট, ভারতীয় বিশেষজ্ঞ নিউরোসার্জন, বিশেষজ্ঞ কারডিওলজিস্ট, পুষ্টিবিদ , ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট, কাউন্সেলিং সাইকলজিস্ট, স্বাস্থ্য পেশাজীবী সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ, নারীনেত্রী ও সমাজকর্মী, পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ, জরাবিজ্ঞানি, স্ট্রোক ভিক্টিম, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
একটি পরিসংখ্যানের উদ্বৃতি দিয়ে চিকিৎসকরা জানান, স্ট্রোক হার্টের অসুখ- এ ধারণা সঠিক নয়। হার্টের অসুখের সঙ্গে ব্রেন স্ট্রোকের সম্পর্ক আছে। স্ট্রোক একটি মরণব্যাধি রোগ। বিশ্বে প্রতিবছর ১৭ মিলিয়ন মানুষের স্ট্রোক হয়। তার মধ্যে ৬.৫ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ২.৬ মিলিয়ন লোক স্ট্রোক আক্রান্ত। দেশে জনমৃত্যুর প্রায় ১৬ শতাংশ হয় স্ট্রোকে।
এছাড়া উক্ত আলোচনায় স্ট্রোক প্রতিরোধে সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ঘাটতি সম্পর্কিত আলোচনা করা হয় এবং কিভাবে সকল স্বাস্থ্য পেশাদার গন স্ট্রোক প্রতিরোধে একযোগে কাজ করবেন সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
বাংলাদেশ স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ)’র আয়োজিত এই আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএম) মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এমএম এ বারী, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্সের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সিরাজি শফিকুল ইসলাম, শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সামনুন এফ তাহা, ইউরো বাংলা হার্ট হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সুফিয়া হেলেন, এন আই সি ডি এর পুষ্টিবিদ সৈয়দা লিয়াকত, এ্যাসোসিয়েশন অব নিউট্রিশনিস্ট এন্ড ডায়েটিশিয়ান এর সভাপতি পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা প্রমুখ।