বিএডিএন এর উদ্যোগে আয়োজিত হল প্রথম নিউট্রিজেনেটিক্স বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালা
বাংলাদেশ একাডেমি অব ডায়েটেটিক্স এন্ড নিউট্রিশন (বি এ ডি এন) ১৯ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মত নিউট্রিজেনেটিক্স বিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করে । কর্মশালাটি খামার বাড়ী রোড সংলগ্ন আ ক ম গিয়াসউদ্দিন মিল্কি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিলঃ “International Workshop on Understanding Nutrigenetics: The Science Behind Personalized Nutrition”
কর্মশালার প্রধান বক্তা ছিলেন, চেন্নাই ভারত থেকে আগত এবং ইন্সটিটিউট অব নিউট্রিজেনেটিক্স এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও নিউট্রিজেনেটিক্স এক্সপার্ট জননী তামিলভেনান।
চেয়ারপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বি এ ডি এন এর প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কিংবদন্তী পুষ্টিবিদ সরকারী হোম ইকোনমিক্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহীন আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ একাডেমি অব ডায়েটেটিক্স এন্ড নিউট্রিশন এর সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া ফারুক এবং নির্বাহী পরিচালক, সাজেদা কাশেম জ্যোতি।
আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের সকল প্রথিতযশা পুষ্টিবিদ যথাক্রমে, বারডেমের সাবেক প্রধান পুষ্টিবিদ ও ডায়বেটিক নিউট্রিশন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আখতারুন্নাহার আলো, নির্বাহি সদস্য ফারজানা আনজিন, ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তাসনিম হাসিন, শমরিতা হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শামসুর নাহার শম্পা , বারডেম এর প্রিন্সিপ্যাল ডায়েটিশিয়ান শামসুন্নাহার মহুয়া, ইজি ডায়েট বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা সহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের একমাত্র নিউট্রিজেনেটিক্স এক্সপার্ট জুই ইয়াসমিন সহ প্রায় এক শতাধিক পুষ্টিবিদ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাদার গণ।
সভার শুরুতেই বি এ ডি এন এর নির্বাহী পরিচালক বি এ ডি এন এর বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অংশগ্রহনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। নিউট্রিজেনেটিক্স এর অধীনে মুলত ব্যাক্তির জীনগত গঠন এর উপর ভিত্তি করে কি খাবার তার উপকার করবে আর কোনটি ক্ষতিকর তা নির্ধারন করা হয়ে থাকে। আশেপাশের দেশগুলোতে এটির চর্চা শুরু হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম এই বিষয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। এটি এদেশের পুষ্টিবিদ সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাদারদের প্র্যাক্টিসে নতুনত্ব আনবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মতামত প্রদান করেন।
অনুষ্ঠান শেষে বি এ ডি এন এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া ফারুক সকলকে প্রতিষ্ঠানের এর ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সকলকে বি এ ডি এন এর কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থেকে একটি ক্ষুধামুক্ত ও পুষ্টিজ্ঞান সম্পন্ন জাতি গঠনে এগিয়ে আসার আহবান জানান। উপস্থিতিগনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এই লক্ষ্য পূরনে আরও নতুন নতুন বিষয়ে কর্মশালা, সেমিনার ও প্রশিক্ষনের আয়োজন করার ব্যাপারে বি এ ডি এন কে অনুরোধ জানানো হয়।